From the physical to spiritual aspects
আমরা সবাই মরণশীল, এবং একটি দীর্ঘ, সুখী জীবন যাপনের আশা করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই। অবশ্যই, আমরা যদি শান্তিপূর্ণ, ব্যথা-মুক্ত উপায়ে মৃত্যুবরণ করতে পারি, তবে এটিকে সাদর স্বাগত জানাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এটি সবার ক্ষেত্রে হয় না। প্রকৃতপক্ষে, মৃত্যুবরণের জন্য সত্যিই খুব যন্ত্রণাদায়ক উপায় রয়েছে। এই গ্যালারিতে, আমরা এটি সম্পর্কে বিজ্ঞান কী বলে তা জানব।
ক্লিক করুন এবং মৃত্যুর সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক উপায়গুলি সম্পর্কে জেনে নিন।
আমরা অনেকেই ক্রুশবিদ্ধকরণকে যীশুখ্রিস্টের মৃত্যুর সাথে তুলনা করি, কিন্তু এই ধরনের নির্যাতন খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে চালু হয়ে আসছে।
যদিও কিছু শিল্পী যীশুখ্রিস্টের ক্রুশ থেকে ঝুলে থাকাকে কিছুটা শান্তিপূর্ণভাবে চিত্রিত করেছেন, কিন্তু এই ধরনের মৃত্যু সত্যিই অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। এতটাই যে "দু:সহ যন্ত্রণাদায়ক" শব্দটি আসলে "ক্রুশবিদ্ধকরণ" শব্দ থেকে এসেছে।
যদিও বেশিরভাগ ছবিতে হাতের তালু দিয়ে খিলগুলি ঢোকানো হয়েছে এমন দেখানো হয়, কিন্তু এগুলি ঐতিহাসিকভাবে ভুল। খিলগুলি হাতের পরিবর্তে কব্জির মধ্য দিয়ে ঢোকানো হবে, যা মধ্যবর্তী স্নায়ুতে আঘাত করবে, যা অবিশ্বাস্যভাবে যন্ত্রণাদায়ক হবে। ক্ষতকে আরও বেশি যন্ত্রণা দেয় যে সমস্ত পোকামাকড় তাদের কথাও উল্লেখ না করলেই নয়।
অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় এই ধরনের মৃত্যুকে কম যন্ত্রণাদায়ক বলে মনে করা হয়, তবে এরকম কিন্তু এমনটা সবসময় হয় না।
সর্বাধিক ব্যবহৃত এই প্রোটোকলটিতে আগে তিনটি ওষুধ অন্তর্ভুক্ত ছিল: একটি ঘুমের ওষুধ এবং অনুভূতিনাশক ওষুধ, একটি পেশী শিথিলকারী ওষুধ এবং অবশেষে ব্যক্তির হৃদ্স্পন্দন বন্ধ করার জন্য একটি ওষুধ। কিন্তু এই তিন-ওষুধ প্রোটোকলটিকে একক ওষুধ ব্যবহার করার তাগিদে কিছু বিচারব্যবস্থা দ্বারা পরিত্যাগ করা হয়েছিল। তবে এগুলো ব্যক্তি মারা না যাওয়া পর্যন্ত যন্ত্রণাকে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী করতে পারে।
এই ওষুধগুলির মধ্যে অনেকগুলি মানুষকে শিথিল করে দেয়, তবে এগুলি কোনও অনুভূতিনাশক নয়, তাই যন্ত্রণা বর্ণনা করা সম্ভব না। উদাহরণস্বরূপ, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের শরীরে ময়নাতদন্তের সময় চরম পালমোনারি এডিমা পাওয়া গেছে।
যদিও ডুবে যেতে বেশি সময় লাগে না, তবে ডুবে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। ডুবে যাওয়ার সময় মানুষ সাধারণত আতঙ্কিত হয়ে যায়, যার ফলে মানুষ খুব দ্রুত এবং গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া শুরু করে। কিন্তু তখন মানুষ বাতাসের পরিবর্তে জলে/পানিতে শ্বাস নেওয়া শুরু করে।
এর কারণে ল্যারিঙ্গোস্প্যাজম নামে পরিচিত স্বরতন্ত্রের খিঁচুনি শুরু হবে। তবে জলে/পানিতে শ্বাস নেওয়া সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। এমনকী যাঁরা বেঁচে যান তাঁদের ফুসফুসও কিছু সময়ের জন্য যন্ত্রণা কাতর অবস্থায় থাকে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু ছোটো ছোটো বৈদ্যুতিক শক অনুভব করেছেন এবং সেই শকগুলো নিশ্চিতভাবে যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে, তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া একটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।
যখন একটি পর্যাপ্ত পরিমাণের শক্তিশালী বৈদ্যুতিক চার্জ কোনও ব্যক্তিকে আঘাত করে, তখন তাদের পেশীগুলির খিঁচুনি শুরু হয়, হাড়গুলি ভেঙে যায়, চামড়া ফুলে যায় এবং চোখের কোটর থেকে চোখ বেরিয়ে আসতে পারে। এবং এই পুরো প্রক্রিয়াটাই খুব যন্ত্রণাদায়ক।
আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার কথা চিন্তা করলে যদি আপনি বিচলিত হয়ে ওঠেন তবে এর পেছনে একটি ভালো কারণ রয়েছে: এটি খুবই ভয়ঙ্কর। আমাদের ত্বকে অসংখ্য স্নায়ু থাকে, তাই পুড়ে যাওয়ার সময় যে ব্যথা অনুভূত হয় তা খুব তীব্র হয়ে থাকে।
ধোঁয়া এবং গরম বাতাসে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে যে ব্যথা অনুভূত হয় তার কথা উল্লেখ না করলেই নয়, এটি যে কেবল শ্বাসরুদ্ধই করবে তা নয় বরং ভেতরে যাওয়ার সময় সমস্ত কিছু পুড়িয়ে ফেলবে। এটা নিঃসন্দেহে যন্ত্রণাদায়ক।
লাভা আপনাকে কীভাবে মেরে ফেলতে পারে সে-সম্পর্কে যদি আপনি কখনও চিন্তা করে থাকেন তবে এখানে আপনার জন্য একটি সারাংশ দেওয়া হয়েছে। আপনার চামড়া সিদ্ধ হওয়া শুরু করবে এবং আপনার তাৎক্ষণিক পেশী সংকোচন (শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া) দেখা দেবে। আরও উল্লেখ না করলেই নয় যে আপনার মস্তিষ্কও সিদ্ধ হতে শুরু করবে, যার কারণে আপনার মাথার খুলি ফেটে যেতে পারে।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে মৃত্যু হওয়াকে যতটা নিষ্ক্রিয় এবং শান্তিপূর্ণ মনে হয় ঠিক ততটা কিন্তু নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি একেবারে এর বিপরীত। হাইপোথার্মিয়া কোনও ব্যক্তিকে প্রাথমিক পর্যায়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁপতে বাধ্য করবে।
এর পরে পেশী শক্ত হওয়া এবং মস্তিষ্কের ত্রুটি দেখা দেবে। আপনার শরীর আপনার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে রক্ত সরবরাহ করার চেষ্টা করার সাথে সাথে অঙ্গগুলি ব্যাথা করতে শুরু করবে। ফ্রস্টবাইট তখন যন্ত্রণাপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। মোট কথা, ঠান্ডার কারণে মৃত্যু ঘটা অবশ্যই মারা যাওয়ার যন্ত্রণাহীন উপায় নয়।
কিছু লোক যে অসহনীয় ব্যথার মধ্যে দিয়ে যায় তা সাধারণত ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঠিক আগে হয়ে থাকে, যা এই তালিকায় মৃত্যুর অন্যান্য কারণগুলি থেকে আলাদা । সতর্কতামূলক লক্ষণগুলি সত্যিই খুব যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে।
সাধারণত হাত, চোয়াল, ঘাড় এবং পিঠে ব্যথা হয়। বুকের উপর অনুভূত অবর্ণনীয় চাপের কথা উল্লেখ না করলেই নয়, যে চাপকে সাধারণত এমনভাবে বর্ণনা করা হয় যেন কোনও হাতি বুকের উপর বসে আছে।
বিকিরণ সম্পর্কে সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয়গুলির মধ্যে একটি হল এটি অদৃশ্য এবং সঠিক মাত্রায় এটি মারাত্মক রূপ নেয়। কিন্তু আপনি যখন তীব্র বিকিরণ সিন্ড্রোম (ARS) দ্বারা কষ্ট পান তখন আসলে কী ঘটে? প্রথমত, এটি টিস্যু এবং জেনেটিক উপাদান উভয়ের ক্ষতি করে।
এটি তারপরে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য-সমস্যায় সৃষ্টি করে যা ইমিউন সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। এগুলি অবশেষে রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার পতনের মতো গুরুতর জটিলতার সৃষ্টি করে এবং তা শেষপর্যন্ত মৃত্যু ঘটায়।
স্নায়ুর ব্যথা থেকে শুরু করে হাড়ের ক্ষতি এবং চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পর্যন্ত, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া খুব যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে এবং যখন ব্যথার কথা ওঠে তখন অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার যুক্তিযুক্তভাবে সবচেয়ে খারাপ।
অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার যখন আক্রান্ত জায়গার চারপাশের স্নায়ুর উপর চাপ দেয় তখন এটি ভয়ানক ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এটি পেট এবং পিঠে মর্মান্তিক ব্যথা সৃষ্টি করে। অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতাও দেখা দিতে পারে, পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অংশের নরম-টিস্যুতেও ব্যথা দেখা দিতে পারে।
বুমস্ল্যাং হল একটি সাপ, এবং এটি একটি খুবই বিষাক্ত সাপ। এর অর্থ, নিশ্চিতভাবেই এই যে এইরকম একটি সাপের কামড়ে মৃত্যু সত্যিই খুব কষ্টকর হবে।
এর বিষ কীভাবে আপনাকে মেরে ফেলে? উত্তর হল রক্তক্ষরণের মাধ্যমে। মূলত ভুক্তভোগীর শরীরের ভিতরে মারাত্মকভাবে রক্তপাত হবে। তারপরে, অনিয়ন্ত্রিত কম্পন শুরু হবে, পাশাপাশি বমি বমি ভাব এবং উচ্চমাত্রার জ্বর হবে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বেদনাদায়ক মৃত্যু।
ডুবুরিরা যখন গভীর জলে যায়, তখন তারা সংকুচিত হাওয়ায় শ্বাস নেয় যাতে পানির/জলের উপরিতলের হাওয়ার তুলনায় অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি থাকে।
সমস্যাটি হল নাইট্রোজেন বাড়তে থাকে এবং যদি ডুবুরিরা খুব দ্রুত উপরিভাগে ফিরে আসে তবে নাইট্রোজেন প্রসারিত হবে এবং বুদবুদ তৈরি করবে, যা পুরো শরীরকে প্রভাবিত করে। ডিকম্প্রেশনের কারণে অসুস্থতা, যা ব্যারোট্রমা বা নুয়ে পড়া হিসাবেও পরিচিত, যা খুব বেদনাদায়ক হতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ক্লোরিন ট্রাইফ্লোরাইড (ClF3) ১৯৩০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। এটি একটি খুব প্রতিক্রিয়াশীল তরল যা এটির সংস্পর্শে আসা সমস্ত কিছুকে পুড়িয়ে দেয়।
ClF3-এর সংস্পর্শে এলে তা দেখতে কেমন হবে সে-সম্পর্কে যদি আপনি চিন্তা করে থাকেন, তাহলে বিজ্ঞানী Paul Doherty আপনার জন্য তা সহজ করে দিয়ে বলেছেন: "ক্লোরিন আপনার হাড়গুলিকে জিলাটিনে পরিণত করবে - আপনার আঙুলগুলি রড থেকে ছোটো গোলাকার ধ্বংসাবশেষে পরিণত হবে।" হায়!
মৃত্যুর সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক উপায় (বিজ্ঞানের ভাষায়)
পুড়ে যাওয়া, ক্রুশবিদ্ধ হওয়া এবং এর চেয়েও নিকৃষ্ট কিছু
LIFESTYLE কৌতূহল
আমরা সবাই মরণশীল, এবং একটি দীর্ঘ, সুখী জীবন যাপনের আশা করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই। অবশ্যই, আমরা যদি শান্তিপূর্ণ, ব্যথা-মুক্ত উপায়ে মৃত্যুবরণ করতে পারি, তবে এটিকে সাদর স্বাগত জানাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এটি সবার ক্ষেত্রে হয় না। প্রকৃতপক্ষে, মৃত্যুবরণের সত্যিই খুব যন্ত্রণাদায়ক উপায় রয়েছে। এই গ্যালারিতে, আমরা এটি সম্পর্কে বিজ্ঞান কী বলে তা জানব।
ক্লিক করুন এবং মৃত্যুর সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক উপায়গুলি সম্পর্কে জেনে নিন।