আমরা শরীরের লোম কামানো কেন শুরু করেছিলাম জানেন? -

শরীরের লোম কামানো বা ওয়াক্স করার প্রয়োজন না হওয়াকে সারা বিশ্বের নারীরা মহামারী চলাকালীন সামাজিক বিচ্ছিন্নতার সবচেয়ে বড়ো সুবিধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এবং তাঁরা কেন তা চাইবেন ? এটি সাধারণত বেদনাদায়ক, ব্যয়বহুল, অস্বস্তিকর এবং/অথবা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু অনেকেই মনে করেন যে তাঁদের এটি করতে হবে, বা, সাধারণত আরও বেশি সংখ্যক নারীরা এটা ভাবেন যে শরীরের লোম কামানোটা তাঁদের নিজেদের ইচ্ছে যা তাঁদের নিজস্ব ধারণা, কিন্তু বাস্তবে, কয়েক দশক ধরে চলে আসা সামাজিক চাপের ফলস্বরূপ এই তথাকথিত পছন্দগুলির উৎপত্তি।

অনেক নারী অল্প বয়স থেকেই শরীরের লোম তোলা শুরু করে দেন তবে কীভাবে বা কেন এই চলটি শুরু হয়েছিল সেই সম্পর্কে খুব কম সংখ্যকই জানেন। শরীরের লোম দীর্ঘকাল ধরে মহিলাদের জন্য লজ্জা এবং নিয়ন্ত্রণের উৎস। এটি শ্রেণী বোঝাতে, নারীত্ব বোঝাতে এবং একজন নারী এবং পুরুষের মধ্যে পার্থক্য সংজ্ঞায়িত করতে ব্যবহৃত হয়েছে। যাই হোক, সেই সবই এখন বদলে যাচ্ছে। CNN-এর তথ্যের উপর ভিত্তি করে, কীভাবে শরীরের লোম তোলা শুরু হয়েছিল, কীভাবে এটি ছড়িয়ে পড়ে এবং আজকাল কীভাবে এই প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে তা দেখতে ক্লিক করুন।

© Getty Images

সেই আদিম যুগ থেকে শুরু হয়েছিল এই প্রথা -

শরীরের লোম তোলার প্রচলন প্রাচীন মিশর, গ্রীস এবং রোমান সাম্রাজ্যে ছিল কিন্তু তা অতটা প্রখর ছিল না। তাঁরা শরীরের লোম পরিষ্কার রাখার জন্য ঝিনুক, মৌচাক থেকে তৈরি ওয়াক্স/মোম এবং অন্যান্য লোম তোলার জিনিস ব্যবহার করতেন।

© Shutterstock

উচ্চ শ্রেণীর প্রতীক -

প্রাচীন রোমান সভ্যতায়ও মসৃণ, লোমহীন ত্বক শ্রেণী এবং বিশুদ্ধতার প্রতীক ছিল। আর তা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ছিল তেমনটি একদমই নয়!

© Shutterstock

থ্রেডিং -

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গেই পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ায়, মুখের একটি অংশ বাদে বাকি পুরো মুখে থ্রেডিং (যে প্রক্রিয়ায় একটি সরু দড়ি নিয়ে তাকে ডবল করে পেঁচিয়ে নিয়ে অবাঞ্ছিত লোমের ওপর দিয়ে গড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যার ফলে লোমগুলি গোঁড়া থেকে উঠে আসে।) করা হতো...

© Shutterstock

জোড়া ভুরু -

অতীতে, নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই জোড়া ভুরুকে আকর্ষণীয় বলে মনে করা হতো। এমনকী মানুষ তাঁদের ভুরুগুলিকে আরও ঘন করার জন্য আইলাইনারের প্রাথমিক সংস্করণ যা সেই সময় উপলব্ধ ছিল সেগুলি ব্যবহার করতেন।

© Shutterstock

প্রাপ্তবয়স্ক এবং বিবাহের প্রতীক -

পারস্যে, একটি নারীর শরীরের লোম তোলা এবং ভুরু ছেঁটে সুন্দর করে রাখার মানে ছিল সে প্রাপ্তবয়স্ক আর তার বিয়ে হতে চলেছে।

© Shutterstock

মধ্যযুগে চুলের গোছ বাড়িয়ে তোলার প্রবণতা -

মধ্যযুগে ক্যাথলিক নারীদের নারীত্বের প্রতীক হিসেবে চুল বড়ো করতে হতো আবার লোকসমাজে তা ঢেকেও রাখতে হতো। আরেকটি মজার তথ্য হল: ১৪ শতকের মহিলারা তাঁদের মুখমণ্ডলকে ডিম্বাকৃতি আদলের দেখানোর জন্যে কপালের সামনের দিকের চুল তুলে ফেলতেন।

© Shutterstock

ভুরু কামিয়ে রাখা ফ্যাশনেবল ছিল -

১৫৫৮ সালে রানি প্রথম এলিজাবেথ ক্ষমতায় আসার পর ভুরু কামিয়ে রাখা ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে।

© Getty Images

১৮ শতকের শেষের দিকের আগে অবধি শরীরের লোম তোলা অপরিহার্য ছিল না -

ইউরোপীয় এবং আমেরিকান মহিলাদের তখনও তাঁদের শরীরের লোম তোলার জন্য কোনোরকম চাপ ছিল না, যদিওবা ১৭৬০ সালে জ্যাক পেরেট যখন পুরুষদের জন্য প্রথম সেফটি রেজার আবিষ্কার করেছিলেন, তখন কিছু মহিলাও সেগুলি ব্যবহার করেছিলেন বলে জানা গেছে।

© Shutterstock

এই লোম তোলার বিষয়ে ডারউইনের ভূমিকা -

রেবেকা হারজিগের লেখা 'প্লাকড: এ হিস্ট্রি অফ হেয়ার রিমুভাল' বইটি অনুযায়ী শরীরের লোম যে আকর্ষণীয় নয় ইতিহাসে এই ধারণার উৎস খুঁজতে গেলে তা পাওয়া যাবে ১৮৭১ সালে চার্লস ডারউইনের লেখা 'ডিসেন্ট অফ এ ম্যান' বইটিতে।

© Getty Images

প্রাকৃতিক নির্বাচনের তত্ত্ব -

হারজিগের মতে, ডারউইনের বিখ্যাত তত্ত্বে তিনি শরীরের অধিক লোম থাকাকে মানুষের পূর্বপুরুষদের আদিম এবং কম বিকশিত রূপের প্রতীক হিসেবে ব্যক্ত করেছেন এবং তার বিপরীতে শরীরে লোমের ভাগ কম থাকাকে বিবর্তন এবং যৌন আকর্ষণের প্রতীক হিসেবে ব্যক্ত করেছেন।

© Getty Images

১৯ শতকের বৈজ্ঞানিক "বিশেষজ্ঞরা" যোগ দিয়েছিলেন -

শরীরে অধিক লোম থাকাকে তাঁরা রোগ, পাগলামি এবং যৌন বিচ্যুতির মতো নেতিবাচক জিনিসগুলির সাথে যুক্ত করতে শুরু করেন যা সবসময় নারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতো পুরষদের ক্ষেত্রে নয়। এর ফলে তাদের শরীরের লোম তোলা নিয়ে নারীরা এক সামাজিক চাপের সম্মুখীন হয়।

© Getty Images

সমাজে নারীদের উত্থান নিয়ন্ত্রণের একটি উপায় -

হারজিগ বলেন যে নারীদের মাথায় এই ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে লোকজনের সাথে মেলামেশা করতে হলে তাদের শরীরে লোম থাকা চলবে না, সেটা সমাজে মহিলাদের ভূমিকার উপর প্রয়োগ করা "লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক নিয়ন্ত্রণ"-এর একটি রূপ। এটি ছিল লজ্জাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে মহিলাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করার এবং চিরাচরিতভাবে চলে আসা সমাজে নারী পুরুষের ভূমিকায় তাদেরকে মানিয়ে নিতে বাধ্য করার এক প্রাথমিক প্রচেষ্টা। 

© Getty Images

আমেরিকায় শ্রেণী এবং নারীত্বের একটি প্রতীক -

১৯০০-র দশকের গোড়ার দিক থেকেই শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের উচ্চ এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে এই ধারণা বাসা বেঁধেছিল যে লোমবিহীন শরীর নারীত্বের প্রতীক। যে শরীরের লোমকে ঘৃণ্য বলে মনে করা হতো তা সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে নারীরা নিজেদের নিম্নশ্রেণীর থেকে দৃশ্যত আলাদা করে রাখতেন।

© Getty Images

কোম্পানিগুলো এই বিষয় নিয়ে মার্কেটিং করতে শুরু করে দেয় -

১৯১৫ সালে, Harper's Bazaar ছিল প্রথম মহিলাদের ম্যাগাজিন যারা বগলের লোম কামানোর "প্রয়োজনীয়তা" নিয়ে একটি প্রচারাভিযান চালায় এবং জিলেট মহিলাদের জন্য তাদের প্রথম রেজার বার করে, যার বিজ্ঞাপনে তারা বলেছিল, "একটি বিব্রতকর ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান করে।"

© Getty Images

তারপর ফ্যাশন বদলে গেল -

২০ শতকের প্রথম দশকে, হাতকাটা ড্রেস, ছোটো হেমলাইন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাইলন স্টকিংসের ঘাটতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের মধ্যে বগলের এবং পায়ের লোম কামানোর প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

© Getty Images

বিকিনির প্রচলন - ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন ছোটো বেদিং স্যুট বটম জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তখন কোম্পানি এবং উপভোক্তা উভয়েই যৌনাঙ্গের আর তার আশপাশের লোম কামানো এবং ছাঁটার বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করে দেন।

© iStock

যৌন আকর্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল -

১৯৫০-এর দশকে Playboy ম্যাগাজিন আসার পর থেকে লোমহীন শরীরের, ছোটো ছোটো জামাকাপড় পরা মহিলারা লোমহীনতাকে আকর্ষণীয় প্রতিপন্ন করতে থাকেন, আর ১৯৬৪ সাল আসতে আসতে ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ৯৮% আমেরিকান মহিলারা নিয়মিত তাঁদের পায়ের লোম কামাতে শুরু করে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

© Getty Images 

ওয়াক্স স্ট্রিপ এবং লেজার ব্যবহার করে শরীরের লোম তোলার প্রক্রিয়া -

ওই একই সময়ে শরীরের লোম তোলার নতুন নতুন পদ্ধতি আসতে থাকে কিন্তু প্রথম লেজার ব্যবহার করে শরীরের লোম তোলার প্রক্রিয়া চালু হওয়ার সাথে সাথেই ত্বকের ওপর তার ক্ষতিকারক প্রভাবের জন্য তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কয়েক দশক পরে এই প্রক্রিয়া আবার চালু হয়।

© Getty Images

তারপর আসে নারীবাদের দ্বিতীয় ঢেউ -

হিপ্পিদের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, '৬০ এবং '৭০-এর দশকে নারীবাদের দ্বিতীয় ঢেউ শরীরের লোম তোলার চলকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অনেক নারীর ক্ষেত্রে শরীরের লোম সাম্যের জন্য লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।

© Getty Images

পর্নোগ্রাফি এবং পপ কালচার -

পপ সংস্কৃতিতে "সেক্স সেলস"-এর যুগে, ওয়াক্সিং এবং পর্নোগ্রাফির প্রবণতা মানুষকে তাদের যৌনাঙ্গের লোম নিয়ে আরও সৃজনশীল এবং প্রদর্শনীবাদী করে তুলেছিল।

© Getty Images

দ্য ব্রাজিলিয়ান -

১৯৮৭ সালে ব্রাজিল থেকে আসা সাত জন বোন মিলে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি সেলুন খোলেন যেখানে তাঁরা তথাকথিত "ব্রাজিলিয়ান" ওয়াক্স করতেন, যাতে যৌনাঙ্গের সমস্ত লোম ওয়াক্স করে তুলে ফেলা হয়। নাওমি ক্যাম্পবেলের মতো সেলিব্রিটিরা এটি করতে শুরু করেছিলেন এবং শীঘ্রই সাধারণ মানুষের মধ্যেও এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং সবাই এটি করাতে শুরু করে দেয়।

© Getty Images

প্রাচ্যের দেশগুলোতে যৌনাঙ্গের লোম তোলার খুব একটা চল ছিল না -

এশিয়ার অনেক দেশে যৌনাঙ্গের লোম তোলা বা ছাঁটার চল অতটা নেই যতটা পশ্চিমের দেশগুলিতে রয়েছে। আর কোরিয়াতে যৌনাঙ্গের লোমকে জননক্ষমতা এবং যৌনস্বাস্থ্যের প্রতীক বলে মানা হয় এবং ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বেশ কিছু সংখ্যক কোরিয়ান মহিলা যৌনাঙ্গে লোমের পরিমাণ বাড়াতে পিউবিক হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করান বলে জানা গেছে।

© Shutterstock

পশ্চিমের দেশগুলোতে শরীর লোমহীন থাকাটা "স্বাভাবিক" হয়ে উঠেছে -

শরীরের লোমের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে এটিকে বর্ণনা করার জন্য "জঘন্য"-র মতো শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং নারীরা শরীর লোমহীন করার জন্য ইলেক্ট্রোলাইসিস, পালসড লাইট এবং আরও উন্নত লেজার প্রযুক্তির মতো নতুন এবং সাধারণভাবে প্রচলিত নয় এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছেন বলে দেখা গেছে।

© Shutterstock

পরিষ্কারের ঠিক বিপরীতটা -

পরিচ্ছন্নতার এই ধারণাটি শরীরের লোমের প্রতি ঘৃণা, লজ্জা এবং বিরোধিতার ধারণার থেকে আসে যা নারীদের মাথায় ঢোকানো হয়েছে কিন্তু বাস্তবে বেশিরভাগ শরীরকে লোমহীন করার প্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ জ্বালা এবং সংক্রমণের সৃষ্টি হতে পারে।

© Shutterstock

হোমোফোবিয়া এবং হেটেরোসেক্সিজম -

সমাজে চলে আসা ধারণার বিপরীতে পুরুষদের লোম কামানো এবং নারীদের লোম বাড়ানোর ধারণাটিকে শীঘ্রই অদ্ভুতত্ত্ব (queerness) হিসেবে বোঝানো শুরু হয় যা কে নিজের শরীরের লোম সম্পর্কে কী করবে সে-ব্যাপারে ভিন্নধর্মী সামাজিক চাপকে আরও জোরদার করে দেয়।

© Shutterstock

নারীবাদের চতুর্থ ঢেউ -

২০১০-এর দশকে, নতুন প্রজন্মের নারীরা তাদের শরীরকে কী কী উপায়ে সীমাবদ্ধ করা হয় সেই সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে ওঠে এবং তারা এই বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এটি নারীবাদ, লিঙ্গ এবং যৌনতা সম্পর্কে বাড়তে থাকা সচেতনতা থেকে উদ্ভূত হয়।

© Getty Images

তারকারা এবং ইনফ্লুয়েন্সাররাও বদলাচ্ছেন -

ইনফ্লুয়েন্সাররা এবং তারকারা শরীরের লোম-সহ আরও ছবি পোস্ট করতে শুরু করেন, এমনকী Harper's Bazaar, যারা একসময় নারীদের শরীর লোমহীন হওয়া উচিত এই ধারণাটিকে প্রচার করেছিল, তারা মডেল এমিলি রাতাজকোস্কির একটি এমন ছবি প্রকাশ করে যাতে মডেলটির বগলের লোম কামানো ছিল না।

© Getty Images

ব্র্যান্ডগুলি আবারও মার্কেটিংয়ে এগিয়ে -

কিন্তু এবার উল্টো পথে! বিলির মতো মহিলাদের জন্য নতুন শেভিং ব্র্যান্ডগুলি শরীরের লোমের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা এবং তা রাখা বা না রাখা ব্যক্তিগত পছন্দ এই ধরনের ধারণা প্রচার করছে৷ তাদের বিজ্ঞাপনগুলি বিভিন্ন প্রকার শরীরের লোম-সহ ভিন্ন ভিন্ন মহিলাদের দেখায় যা মহিলাদের শরীর লোমহীন হতে হবে এই ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করে।

© Shutterstock

আরও অনেক কিছুর প্রতীক হিসাবে শরীরের লোম -

নারীরা শরীরের লোম তোলা প্রত্যাখ্যানের মতো ছোটো উপায়ে তাঁদের ক্ষমতা উপলব্ধি করছেন এবং শরীরের লোম দ্রুত বিপ্লব, সক্রিয়তাবাদ এবং সামাজিক পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

© Shutterstock