কফি যে আপনাকে দ্রুত শান্ত করে তোলে এটি একটি ভুল ধারণা!
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কাঁচা খাবারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এর অর্থ এই নয় যে সুষম ডায়েটে রান্না করা খাবার আর খাওয়া যাবেনা (প্রকৃতপক্ষে, এটি একেবারে তার বিপরীত), তবে কিছু খাবারকে একদম খাঁটি অবস্থায় খাওয়া হলে তা কখনও কখনও উপকারী হয় এবং প্রকৃতপক্ষে সুস্বাদুও হয়।
এই গ্যালারিতে, আমরা এমন কিছু খাবার দেখব যা কাঁচা খাওয়া ভালো। ক্লিক করুন এবং আপনার ডায়েটে এগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করুন।
রান্না করা এবং কাঁচা খাবার উভয়েরই স্বাস্থ্যকরী উপকারিতা রয়েছে। এটা আসলে খাবারের উপর নির্ভর করে। খাবার রান্না করা হলে তা কিছু এনজাইমকে ধ্বংস করে দিতে পারে এবং কিছু কিছু আবার পরিপোষক পদার্থকে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু খাবার কাঁচা খাওয়া হলে তা নিশ্চিত করবে যে এই খাবারগুলি নিজেদের পরিপোষক পদার্থকে সংরক্ষণ করেছে। অন্যদিকে, রান্না করা হলে তা হজমযোগ্যতা বাড়াতে পারে, কিছু পরিপোষক পদার্থের প্রাপ্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ক্ষতিকারক যৌগ এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারে।
সংক্ষেপে, একটি অন্যটির চেয়ে ভালো এমন কোনও কথা নেই। যদিও ডায়েটে কাঁচা খাবার অন্তর্ভুক্ত করা খারাপ না। এগুলি স্বাস্থ্যকরী উপকারিতাসম্পন্ন যা হয়তো আপনি রান্না করলে হারাতে পারেন।
পেঁয়াজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। পেঁয়াজকে গরমে উত্তপ্ত করা হলে তাতে ক্যান্সার-রক্ষাকারী ফাইটোকেমিক্যালগুলির উপকারিতা কমে যায়।
কাঁচা পেঁয়াজের সালফিউরিক যৌগগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে, ইনসুলিন উৎপাদনকে বৃদ্ধি করতে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করতে পারে।
শসা মানে হল তাজা, কুরকুরে এবং মুচমুচে টেক্সচারওয়ালা সবজি। শসাকে রান্না করা হলে তা কেবল এর টেক্সচারকেই প্রভাবিত করবে না, বরং এর পুষ্টিগুণও হ্রাস করবে।
জলজ শাকে বেশ কয়েকটি এনজাইম রয়েছে যা তাপের সংস্পর্শে এলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলজ শাক কাঁচা খাওয়া হলে এর ফাইটোকেমিক্যালস (ক্যান্সারবিরোধী যৌগ) সংরক্ষিত থাকে।
সামুদ্রিক শৈবাল আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর। এটি রান্না করা হলে এর পুষ্টিগুণ হ্রাস পেতে পারে।
থাইরয়েড রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত ২০১১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে শৈবালকে ফোটানো হলে এর আয়োডিনের পরিমাণ ৯০% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।
অ্যাভোকাডো রান্না করা হলে এর খনিজগুণ এবং ফাইবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবুও, অ্যাভোকাডোকে রান্না করা যেতে পারে (যদিও আপনি এটি কাঁচা খেতে পছন্দ করতে পারেন, যাই হোক)।
এগুলি শুধুমাত্র পুষ্টির ক্ষেত্রেই অসাধারণ নয়, এগুলি কিন্তু সুস্বাদু এবং বহু গুণসমৃদ্ধ। এগুলি তাজা, হিমায়িত বা শুকনো করে খাওয়া হলে বেশি সুস্বাদু লাগে।
অলিভ অয়েলে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা তাপ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। তবে এটি দিয়ে রান্না করা নিরাপদ।
এগুলিতে ক্যালোরি কম এবং এগুলি ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং বিশেষত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
লাল গোলমরিচ কাঁচা খাওয়া উচিত, কারণ এগুলি রান্না করা হলে এদের পুষ্টিগুণ, বিশেষত ভিটামিন বি এবং সি ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।
সোয়েরক্রাউট এবং পাশাপাশি অন্যান্য ফার্মেন্টেড খাদ্যগুলি আপনার অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার জন্য খুব ভালো। তবে তাপ দেওয়া হলে তা ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলবে।
বাদাম খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। এগুলি ভাজাও খাওয়া যায়, তবে এগুলি কাঁচা খাওয়া নিশ্চিত করবে যে আপনি ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না।
ব্রোকলি সেই খাবারগুলির মধ্যে একটি যেটির খাওয়া ধরন নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। এটি রান্না করা হলে তা গ্লুকোসিনোলেটস নামে পরিচিত ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইকারী যৌগগুলির মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে, পাশাপাশি এটি হজম হওয়া আরও সহজ হয়ে ওঠে।
তবে এগুলি কাঁচা খেলেও আপনি বেশ উপকৃত হতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে, কাঁচা ব্রোকলিতে রান্না করা ব্রোকলির চেয়ে ১০ গুণ বেশি সালফোরাফেন (একটি অ্যান্টিকার্সিনোজেন) থাকতে পারে।
রসুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সালফিউরিক যৌগ রয়েছে, যার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকরী উপকারিতা রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। রসুন রান্না করা হলে এই অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক সালফিউরিক যৌগগুলি ধ্বংস করতে পারে।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার রয়েছে, এবং এই পুষ্টিগুণগুলো তাপ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।
সেলারি খাওয়াটা মানে মুচমুচে কিছু খাওয়া, তাই না? সুতরাং, কেন আপনি এটি রান্না করতে চান? এছাড়াও, রান্না করার ফলে এর ফেনোলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ হ্রাস পাবে।
কাঁচা নারকেল কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, বরং এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। নারকেল জল ইলেক্ট্রোলাইটের একটি প্রাকৃতিক উৎস, তাই সত্যিই এটির ক্ষেত্রে আপনার কোনও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
গেঁজগুলি ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ক্লোরোফিলে ভরপুর। এগুলি রান্না করলে এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং বি প্রভাবিত হতে পারে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের এর কয়েকটিকে কাঁচা খেতে পরামর্শ দেওয়া হয় না। কারণ প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া বীজের গেঁজে প্রবেশ করতে পারে।
কাঁচা কিংবা রান্না করা টমেটো কিন্তু সবসময়ই খেতে খুবই ভালো লাগে। এগুলি রান্না করলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিনের প্রাপ্তি বাড়বে। তবে আপনি যদি আপনার ভিটামিন সি গ্রহণের মাত্রা বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকেন তবে এগুলি কাঁচা খাওয়াই ভালো হবে।
মূলো রান্না করা হলে তা এর কড়া গন্ধকে কমাতে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে, তবে এর ফলে আপনি কতটা ভিটামিন এবং খনিজ পাবেন তাও প্রভাবিত হয়।
গাজর রান্না করে খেলে হলে তা বিটা ক্যারোটিন শোষণে সহায়তা করতে পারে, যা তারপরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। তবে গাজর কাঁচা খাওয়া হলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয়ে থাকে।
এই পাতাযুক্ত শাকগুলি ভিটামিন সি এবং ই এবং ফাইবারের পাশাপাশি আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর। তাপের সংস্পর্শ এলে কিন্তু এগুলোর উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
বিটরুট ভিটামিনে ভরপুর এবং ফোলেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি দুর্দান্ত উৎস এবং নাইট্রিক অক্সাইড (NO)-এর প্রাপ্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে এটি রান্না করা হলে এই বৈশিষ্ট্যগুলির কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।
বন্য চাল আসলে একটি ঘাস, এবং এটি কয়েক দিন জলে/পানিতে ভিজিয়ে রাখার পরে কাঁচা খাওয়া যেতে পারে। এটি আলফা লাইপোইক অ্যাসিড (ALA)-এর খুবই ভালো একটি উৎস, তাই এটি খাওয়ার চেষ্টা করে দেখুন।
ভিটামিন সি দিয়ে ভরা পাতা কপির পুষ্টি সংরক্ষণের জন্য এটি কাঁচা খাওয়াই ভালো।
যেসব খাবার কাঁচা খাওয়া উচিত
এটি নিয়ে চরম বিতর্ক রয়েছে ( আবার নাও থাকতে পারে)
FOOD ডায়েট
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কাঁচা খাবারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এর অর্থ এই নয় যে সুষম ডায়েটে রান্না করা খাবার আর খাওয়া যাবে না (প্রকৃতপক্ষে, এটি একেবারে তার বিপরীত), তবে কিছু খাবারকে একদম খাঁটি অবস্থায় খাওয়া হলে তা কখনও কখনও উপকারী হয় এবং প্রকৃতপক্ষে সুস্বাদুও হয়।
এই গ্যালারিতে, আমরা এমন কিছু খাবার দেখব যা কাঁচা খাওয়া ভালো। ক্লিক করুন এবং আপনার ডায়েটে এগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করুন।