কম বয়েসেই তারাদের দেশে চলে যাওয়া সঙ্গীত জগতের নক্ষত্ররা
গায়ক এবং 'মুলান' সিনেমার ভয়েস অভিনেতা কোকো লি মাত্র ৪৮ বছর বয়েসে মারা যান
CELEBRITY মৃত্যু
একাধিক প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পী, কখনও কোনও অদ্ভুতরকম দুর্ঘটনায়, নয়ত বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন, এছাড়াও অন্য কারণ যেমন অতিরিক্ত মাত্রাতে মাদক সেবন করার ফলে অসময়ে ইহলোক ছেড়ে চলে গেছেন।
হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন পপ তারকা এবং অভিনেত্রী কোকো লি যিনি ৫ জুলাই, ২০২৩-এ মর্মান্তিকভাবে মারা যান। এই সঙ্গীতশিল্পীর অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত হয়ে ওনার বোনেদের একজন একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন: “২ জুলাই, তিনি বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তিনি কোমাতে চলে যান এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে সবরকমের প্রচেষ্টা করা সত্ত্বেও, অবশেষে ৫ জুলাই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান।“ ওনার বোন আরও বলেছিলেন যে লি বেশ কয়েক বছর ধরে অবসাদে ভুগছিলেন এবং "তার অবস্থা গত কয়েক মাসে মারাত্মকভাবে খারাপ হয়ে গেছিল।" পেশাদার মনোবিদের সাহায্য নেওয়া সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না মাত্র ৪৮ বছর বয়েসে এই মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে চলে গেলেন সবাই ছেড়ে তারাদের দেশে।
লি ছিলেন চীন এবং এশিয়ার একজন সুপরিচিত পপ তারকা, বিশেষ করে ১৯৯০ থেকে ২০০০ পর্যন্ত তিনি অত্যাধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অ্যালবাম 'কোকো লি' এবং এটি বছরের সবচেয়ে বিক্রি হওয়া অ্যালবাম হয়ে ওঠে। তিনি ১৯৯৯ সালে তার প্রথম ইংরেজি অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন এবং মার্কিন গানের চার্টে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন। তার গান 'আ লাভ বিফোর টাইম' হিট মুভি 'ক্রাউচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন'-এ দেখানো হয়েছিল এবং ২০০১ সালে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে সেরা একক গানের জন্য তিনি মনোনীত হয়েছিলেন। লি একজন ডিজনি তারকা হয়ে ওঠেন যখন তিনি 'মুলান' সিনেমাতে ম্যান্ডারিন ভার্সনের টিটুলার চরিত্রে কণ্ঠ শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। লি-এর গানের কেরিয়ার ২০২৩সালে তিনি মারা যাওয়ার আগে ৩০তম বর্ষে পদার্পণ করে।অন্যান্য প্রতিভাবান শিল্পী যারা খুব অল্প বয়সে মারা গেছেন তাদের স্মৃতিচারণ দেখতে গ্যালারিতে ক্লিক করুন।