ব্রাজিলের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। প্রাক্তন নেতা দুর্নীতির সাথে পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকা এবং অর্থপাচারের মত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
বিশ্বের অন্য আর কোন কোন রাজনৈতিক নেতারা জেলে গেছেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট হেবিয়াস কর্পাসের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার পর, ব্রাজিলের প্রাক্তন নেতাকে জেলে যেতে হয়।
প্রাক্তন রাস্ত্রপতিকে 'ট্রিপলেক্স কেস'-এ দুর্নীতির সাথে পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকা এবং অর্থপাচারের অভিযোগে ১২ বছর ১ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল।
পুরো দেশ প্রাক্তন নেতার সপক্ষে এবং বিপক্ষে দুভাগে ভাগ হয়ে যায়, লুলা এবছর আবারও ভোটে দাঁড়ানোর কথা ভাবছিলেন।
The Guardian-এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য এবং দল এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে দ্বিমুখী লেনদেনের মতো দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে ইন্ধন জোগানোর জন্য ৬ই এপ্রিল ২৪ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল।
Reuters-এর মতে, আদালত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে মোট ১৮ বিলিয়ন ওয়ান জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, যা প্রায় $১৬.২ মিলিয়নের সমতুল্য ।
জনগণের বিপুল অনুরোধের ফলে তার বিচার টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল। এই কেলেঙ্কারির কারণে দেশজুড়ে বেশ কিছু বিক্ষোভ হয়।
The Telegraph-এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জালিয়াতি করার জন্য এবং ঘুষ নেবার জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং ২৭ মাসের মধ্যে ১৬ মাস জেল খাটার পর ২০১৭ সালের জুলাই মাসে কারামুক্ত হন।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তাঁর সাত বছরের কারাদণ্ডের পাঁচ বছর সাজা কাটার পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন, উৎস: Independent।
প্রসিকিউটররা ব্রাজিলিয়ান নির্মাণ কোম্পানি Odebrecht SA থেকে তাঁর $২০ মিলিয়ন ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত করাকালীন,
বিচারক রিচার্ড কনসেপশিয়ন টলেডোকে ১৮ মাসের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন।
সংবাদ সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে যে সেই সময়ে, ফুজিমোরিই ছিলেন প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত লাতিন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যিনি তাঁর নিজের দেশেই অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
The Guardian-এর রিপোর্ট অনুযায়ী গত ডিসেম্বরে, পেরুর জনগণ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন যখন বর্তমান রাষ্ট্রপতি পেড্রো পাবলো কুজিনস্কি, ফুজিমোরিকে ক্ষমা করে দেন এবং তাঁকে তার ২৫-বছরের কারাবাস পূরণ করার আগেই মুক্তি দেওয়া হয়।
BBC-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৪ সালে পর্তুগালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে কর জালিয়াতি, অর্থপাচার করা এবং দুর্নীতিতে জড়িত থাকার সন্দেহে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল।
গৃহবন্দী থাকা এবং ইভোরা জেলে রাত কাটানো-সহ মোট ১০ বছরের কারাবাসের পর রাজনীতিবিদকে মুক্ত করা হয়।
The Guardian-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৭ সালে মিশরের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ৬ বাছর জেল খাটার পর ছাড়া পান, যদিও তিনি বেশিরভাগ সময়ই সামরিক হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন।
একটি বিশাল দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার ফলে
মোলিনাকে ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতির পদ ত্যাগ করতে হয় এবং ওই সালেরই সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
The New Yorker-এর মতে, অটো পেরেজ মোলিনার কারাবাস ছিল গুয়াতেমালার বিচার বিভাগের প্রচেষ্টার ফলাফল, যাঁরা গুয়াতেমালায় বিচারহীনতার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কমিশনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন।
চিলির প্রাক্তন স্বৈরশাসককে ১৯৯৮ সালে ৮২ বছর বয়সে গণহত্যা এবং সন্ত্রাসবাদ- সহ অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। The Guardian-এর রিপোর্ট অনুযায়ী জেনারেলকে লন্ডনের একটি হাসপাতালে বন্দী করা হয়েছিল- অস্ত্রোপচারের পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুজায়ী ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ গ্রেফতারি পরোয়ানা- ইন্টারপোলের একটি রেড নোটিশ নিয়ে এসেছিলেন- যাতে অভিযোগ করা হয় যে ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে পিনোচেট স্প্যানিশ নাগরিকদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সারকোজি যিনি ২০০৭ থেকে ২০১২ অবধি ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একজন বিচারপতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করার অভিযোগ রয়েছে।
যে বিশ্বনেতাদের জেলের হাওয়া খেতে হয়েছিল
গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত নেতাদের দীর্ঘ তালিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম একটি নতুন সংযোজন
CELEBRITY অপরাধ
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ব্রাজিলের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার হেবিয়াস কর্পাসের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার পর, তাঁকে দুর্নীতির সাথে পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকা এবং অর্থপাচারের অভিযোগে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
বিশ্বের অন্য আর কোন কোন রাজনৈতিক নেতারা জেলে গেছেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।